শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন

অনুমোদন ছাড়া চলছে লামার ফাইতং ও আশপাশে ৩০ ইটভাটা

বশির আহমেদ, বান্দরবান প্রতিনিধি::

কোনো প্রকার নিয়ম কানুন নেই শুধু প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গায়ের জোরে বান্দরবানের লামার ফাইতং ও আশেপাশে ৩০টি ইটভাটা চলছে। পরিবেশ আইনকে তোয়াক্কা না করে গভীর বনের ভেতরে গড়ে উঠেছে ভাটাগুলো। জনৈক আওয়ামী লীগ নেতা কবির ও মোক্তার আহাম্মদের নেতৃত্বে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিনে-রাতে ভাটাগুলোতে কাঠপোড়ানো ও পাহাড় কাটা চলছে।

লামা বিভাগীয় বনকর্মকর্তা এসএম কাইসার জানান, ফাইতং এলাকায় কোনো ইটভাটার লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। আমরা মাঝে মাঝে অভিযান চালাই।

লামায় প্রাণ-প্রকৃতি একেবারেই ধ্বংস হতে চলছে। ইটভাটা। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, লামায় অধিকাংশ ইটভাটা গড়ে উঠেছে স্কুলের পাশ ঘেঁষে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অভিযোগ জানিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না।

জানা গেছে, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বান্দরবানের লামা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৩০টি ইটের ভাটা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে শুধু ফাইতং এলাকায় ২৪টি ইটের ভাটা রয়েছে। পাহাড় ও ফসলি জমি কেটে বনাঞ্চল-জনবসতির ভেতরে এসব ভাটা গড়ে উঠলেও প্রশাসন এখনো কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। এখানে যেন সরকারি কোনো আইন চলে না। সরকারি দলের কথিত নেতা পরিচয়ধারী মাহামুদুর হক, হুমায়ন কবির, শাহাআলম তিন জন মিলে ফাইতংয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে আলাদা রাজ্য।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বনাঞ্চল, জনবসতি ও স্কুল-কলেজের একশ’ গজের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু বান্দরবানের লামায় মানা হচ্ছে না এই নিয়ম। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে বনাঞ্চল, জনবসতি এবং প্রাইমারি স্কুলের পাশেই অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে সবকটি ইটের ভাটা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারি অনুমোদন ছাড়া ইটের ভাটাগুলো বন্ধে সম্প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কার্যত কিছুই হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com